দৃশ্য দুটির মাঝে ফারাক অনেক বছরের। অনুভূতিও একেবারে আলাদা। একটায় জোহানেসবার্গে বুনো উল্লাসে মেতে উঠলেন উরুগুয়ের লুইস সুয়ারেজ, অন্যটায় কাতারে অঝোরে কাঁদলেন গ্রুপ পর্বে বাদ পড়ে। ২০১০ বিশ্বকাপে গোললাইন থেকে হাত দিয়ে ফেরান ঘানার আদিয়াহর হেড। ইচ্ছাকৃত ওই হ্যান্ডবলে লালকার্ডও দেখেন। মাঠ ছেড়ে যাওয়ার সময় আসামোয়াহ জিয়ানকে পেনাল্টি মিস করতে দেখে অট্টহাসিতে ফেটে পড়েছিলেন তিনি। আর এবার জিতেও উৎসব করা হয়নি সুয়ারেসের। উল্টো কান্নার জল গায়ে মেখে ফিরতে হয়েছে খালি হাতে।
সুয়ারেজ এবারও পরিষ্কার জানিয়েছন, তিনি ওই ঘটনা নিয়ে মোটেও অনুতপ্ত নয় বরং তার মতে সেদিনে কাজের শাস্তি তিনি পেয়েছিলেন লাল কার্ডে। কিন্তু ঘানা সেই স্মৃতি ভোলেনি। এবার উরুগুয়েকে আরেকটি গোল করতে না দিয়ে যেন তার একরকমের প্রতিশোধও নিল!
কাতার বিশ্বকাপের ‘জি’ গ্রুপ থেকে পর্তুগাল ও দক্ষিণ কোরিয়া উঠেছে নকআউট পর্বে। পর্তুগিজরা ৬ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপ সেরা। ৪ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপ রানার্সআপ শেষ ম্যাচে পর্তুগালকে ২-১ গোলে হারানো এশিয়ার দল কোরিয়া। ঘানাকে ২-০ গোলে হারানো উরুগুয়ের পয়েন্ট এবং গোল পার্থক্যও কোরিয়ার সমান। কিন্তু গোল বেশি দেওয়ায় শেষ ষোলোয় এশিয়ার দলটি; বিশ্বকাপ থেকে আবারও বাদ গেল সুয়ারেজরা। সেই সাথে বিশ্বকাপে এবারই হয়তো সুয়ারেজের শেষ।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।